ঢাকা,শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রথম নারী সচিব মাফরুহা সুলতানা’কে সংবর্ধিত করল রামু সমিতি

ramuঢাকা সংবাদদাতা :

রামুর কৃতী সন্তান ও বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রথম নারী সচিব মাফরুহা সুলতানাকে সংবর্ধিত করেছে ঢাকাস্থ রামু সমিতি। গত ২ জুন শুক্রবার ঢাকাস্থ স্থানীয় রেস্টুরেন্টে এক আড়ম্বর অনুষ্টানে এ সংবর্ধনা জানানো হয়।

রামু সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক বিচারপতি ও মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল কবির চৌধুরী, কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহমদ, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার হেলাল উদ্দিন, সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান, রামু সমিতি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মোমেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সুজন শর্মা, বৃহত্তম চট্টগ্রাম আইনজীবি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, কক্সবাজার জেলার প্রথম ব্যারিস্টার নওরোজ মোহাম্মদ রাসেল, রামু সমিতির প্রতিষ্টাতা সভাপতি ফণীভূষণ শর্মা, রামু সমিতির সহ-সভাপতি সাইমুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

সুদূর রামু থেকে উঠে এসে বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে অসম্ভব ধৈর্য আর নিষ্ঠার সঙ্গে আজকের এ অবস্থানে আসার জন্য মিসেস মাফরুহা সুলতানাকে অভিনন্দিত করেন সব বক্তারা। বক্তারা বলেন, মাফরুহা সুলতানা শুধু রামুবাসীরই গর্ব নয়, তিনি বৃহত্তম চট্টগ্রামের-ই আলোকিত নারী। তাঁর এই অর্জন কক্সবাজার জেলার সকল নারীপ্রজন্ম কে অনুপ্রাণিত করবে।

উল্লেখ্য, গত ৪ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কতৃক বিশেষ আদেশে মিসেস মাফরুহাকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি বৃহত্তম চট্টগ্রামের প্রথম নারী সচিব। ১৯৫৯ সালে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন মাফরুহা সুলতানা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৮২ সালে স্নাতক ও ১৯৮৩ সালে উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের পর ১৯৮৬ সালে মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ কার্যালয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। এরপর একে একে বাংলাদেশ সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন মিসেস মাফরুহা সুলতানা। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ডিরেক্টর জেনারেল ও ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় আন্তর্জাতিক বানিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রশংসনীয় অবদান রেখছেন তিনি।

মিসেস মাফরুহা সুলতানা তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই রামু সমিতিকে ধন্যবাদ জানান সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য। তিনি তাঁর আজকের এই অবস্থানে আসার পিছনে তাঁর পরিবারের প্রতি অন্তঃস্থ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রামু তথা কক্সবাজারের যে কোন প্রয়োজনে তিনি তাঁর অবস্থান থেকে যথাসাধ্য অবদান রাখার আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্টানের শুরুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম। এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় সম্প্রতি যারা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে তাঁদের স্নরণে। তন্মধ্যে রামু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অন্যতম প্রতিষ্টাতা সদস্য মরহুম ছৈয়দ আলম সওদাগর, রামু খিজারী হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মরহুম ছৈয়দ আহম্মদ, রশিদনগর নিবাসী ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মরহুম ছলিম উল্লাহ ও ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’ তে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের বিশেষ ভাবে স্নরণ করা হয়।

রামু সমিতি সবসময় গুণিজনদের সংবর্ধনা জানানোর পাশাপাশি, ঢাকাস্থ রামুবাসীদের যে কোন অর্জন, শোক ও যে কোন প্রয়োজনে পাশে থাকে। গত শুক্রবারের এ সংবর্ধনা অনুষ্টান যেন ছিল ঢাকাস্থ রামুবাসীদের মিলন মেলা। রামু সমিতির সদস্যরা স্ব-পরিবারে উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্টানে। পরে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রামু সহ পুরো দেশের মংগল কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন রামু সমিতির সদস্য হাবিবুল্লাহ।

অনুষ্টান সঞ্চালনা করেন রামু সমিতির প্রচার, প্রকাশনা ও সাহিত্য সম্পাদক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম।

পাঠকের মতামত: